1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. bangladeshjugantor24@gmail.com : administrator :
আরাফার ময়দানে হাজীদের করনীয় এবং আরাফার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত: মুফতী ফয়জুল হক জালালাবাদী/ দৈনিক বাংলাদেশ যুগান্তর  - দৈনিক বাংলাদেশ যুগান্তর
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০২:০০ অপরাহ্ন
  •                          

বাংলাদেশ যুগান্তর ইপেপার  

ব্রেকিং নিউজ
কোরআন ও বিজ্ঞানের আলোকে আত্মত্যাগ=এ.এইচ.মহিব/দৈনিক বাংলাদেশ যুগান্তর লন্ডনে অধ্যাপক ডক্টর মোঃ ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক হবে কি?/দৈনিক বাংলাদেশ যুগান্তর  আজ পবিত্র হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু:লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফার ময়দান/দৈনিক বাংলাদেশ যুগান্তর  আরাফার ময়দানে হাজীদের করনীয় এবং আরাফার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত: মুফতী ফয়জুল হক জালালাবাদী/ দৈনিক বাংলাদেশ যুগান্তর  কবি নজরুল স্মৃতি পদক সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ পেলেন আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলী / দৈনিক বাংলাদেশ যুগান্তর শ্রীনগরে লীজকৃত জমিতে হাই রেঞ্জের বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ। দৈনিক বাংলাদেশ যুগান্তর  রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় নির্যাতন,নিপীড়ন ও জীবন নাশের হুমকির অভিযোগে আতিকুর রহমানের কানাডায় আশ্রয় প্রার্থনা / দৈনিক বাংলাদেশ যুগান্তর বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্ম মহাপুরুষ / দৈনিক বাংলাদেশ যুগান্তর মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল হাইকোর্টের / দৈনিক বাংলাদেশ যুগান্তর  বানারীপাড়া প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা শরফুদ্দিন আহমেদ শান্টু’র মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত/দৈনিক বাংলাদেশ যুগান্তর 

আরাফার ময়দানে হাজীদের করনীয় এবং আরাফার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত: মুফতী ফয়জুল হক জালালাবাদী/ দৈনিক বাংলাদেশ যুগান্তর 

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

­   মুফতী ফয়জুল হক জালালাবাদ:

আরাফার দিন হাজিরা আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন। এ দিন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেন সৌদি সরকারের নির্ধারিত ইমাম। হজের খুতবা শোনার পাশাপাশি হাজিরা পুরো দিন আল্লাহর দরবারে দোয়া ও ইসতেগফারের মাধ্যমে দিনটি অতিবাহিত করেন।

এ দিন জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করা হয়। এরং এ দিনের পুরা সময়টি জিকির ও দোয়া দুরুদে ব্যস্ত থাকতে হয়। আরাফা দিবসে আরফার ময়দানে কুরআন তিলাওয়াত ও দোয়া করারই সর্বোত্তম।

এই সময় হাজিরা আরাফার ময়দানে নিজেদের নিজ নিজ জায়গায় অবস্থান করেন। কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত বিভিন্ন দোয়া পাঠ করতে থাকেন, হাত উঁচিয়ে বিনয় ও ভক্তিসহকারে আল্লাহর দরবারে আবেদন জানান। আরাফার দিন জোহরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হাজিদের দোয়ার আমল অব্যাহত থাকে। এই সময়টি দোয়ার করার উত্তম সময়।

দোয়া করার পদ্ধতি
দোয়া শুরুর আগে আল্লাহর প্রশংসা ও তার গুণাবলির বর্ণনা করা এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ পাঠ করা উত্তম।
এরপর মানুষ নিজের প্রয়োজন, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও মনের ইচ্ছামতো দোয়া করতে পারে।
দোয়ার সময় নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরাফার দিনের দোয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করাও সুন্নত; সেই দোয়াগুলোর মধ্যে অনেক কল্যাণ ও বরকতের বার্তা রয়েছে।
আরাফার দিনের আমল

>> মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে একনিষ্ঠ তাওবার সঙ্গে আরাফাতের ময়দানের দিকে রওয়ানা হওয়া।

>> ৯ জিলহজ সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ার আগে থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজের গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম ফরজ কাজ।

>> খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ জোহরের ওয়াক্তের আগেই সেরে নেয়া। সূর্য ঢলে যাওয়ার পর জোহর নামাজের পূর্বে উকুফে আরাফার উদ্দেশে গোসল করা সুন্নাত।

>> নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে নামিরাসহ আরাফাতের ময়দানের যে কোনো জায়গায় অবস্থান করা এবং নিজ নিজ জায়গায় নামাজ আদায় করা। অর্থাৎ জোহরের সময় জোহর এবং আসরের ওয়াক্তে আসর নামাজ আদায় করার এবং দোয়া-ইসতেগফার করা।

উল্লেখ্য যে, জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে মসজিদে নামিরায় জোহর ও আসরের জামাত এক আজানে দুই ইকামাতে একত্রে আদায় করলে একত্রে দুই ওয়াক্ত আদায় করা করা যাবে। কিন্তু তাবুতে বা অন্য কোনো স্থানে একত্রে আদায় না করে আলাদা আলাদা আদায় করা।

>> আরাফার দিনে দু’হাত উত্তোলন করে বেশি বেশি দোয়া করা। বিশেষ করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসহ পূর্ববর্তী নবি-রাসুলগণ যে দোয়া পাঠ করেছেন, তা পাঠ করা।

>> বিশেষ করে কোরআন তিলাওয়াত ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ প্রেরণ হলো আরাফাতের ময়দানের সর্বোত্তম আমল।

> সম্ভব হলে আরাফাতের ময়দানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সিজদায় দোয়া ও ইসতেগফারের মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করা।> সূর্যাস্তের পর সঙ্গে সঙ্গে মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার দিকে রওয়ানা হওয়া।

আরাফার দিন দোয়া করার উত্তম সময় কখন?
আরাফার দিন হাজিরা আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন। এ দিন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেন সৌদি সরকারের নির্ধারিত ইমাম। হজের খুতবা শোনার পাশাপাশি হাজিরা পুরো দিন আল্লাহর দরবারে দোয়া ও ইসতেগফারের মাধ্যমে দিনটি অতিবাহিত করেন।

এ দিন জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করা হয়। এরং এ দিনের পুরা সময়টি জিকির ও দোয়া দুরুদে ব্যস্ত থাকতে হয়। আরাফা দিবসে আরফার ময়দানে কুরআন তিলাওয়াত ও দোয়া করারই সর্বোত্তম।

এই সময় হাজিরা আরাফার ময়দানে নিজেদের নিজ নিজ জায়গায় অবস্থান করেন। কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত বিভিন্ন দোয়া পাঠ করতে থাকেন, হাত উঁচিয়ে বিনয় ও ভক্তিসহকারে আল্লাহর দরবারে আবেদন জানান। আরাফার দিন জোহরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হাজিদের দোয়ার আমল অব্যাহত থাকে। এই সময়টি দোয়ার করার উত্তম সময়।

দোয়া করার পদ্ধতি:
দোয়া শুরুর আগে আল্লাহর প্রশংসা ও তার গুণাবলির বর্ণনা করা এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ পাঠ করা উত্তম।
এরপর মানুষ নিজের প্রয়োজন, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও মনের ইচ্ছামতো দোয়া করতে পারে।
দোয়ার সময় নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরাফার দিনের দোয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করাও সুন্নত; সেই দোয়াগুলোর মধ্যে অনেক কল্যাণ ও বরকতের বার্তা রয়েছে।
আরাফার দিনের আমল

> মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে একনিষ্ঠ তাওবার সঙ্গে আরাফাতের ময়দানের দিকে রওয়ানা হওয়া।

>৯ জিলহজ সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ার আগে থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজের গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম ফরজ কাজ।

> খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ জোহরের ওয়াক্তের আগেই সেরে নেয়া। সূর্য ঢলে যাওয়ার পর জোহর নামাজের পূর্বে উকুফে আরাফার উদ্দেশে গোসল করা সুন্নাত।

নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে নামিরাসহ আরাফাতের ময়দানের যে কোনো জায়গায় অবস্থান করা এবং নিজ নিজ জায়গায় নামাজ আদায় করা। অর্থাৎ জোহরের সময় জোহর এবং আসরের ওয়াক্তে আসর নামাজ আদায় করার এবং দোয়া-ইসতেগফার করা।

উল্লেখ্য যে, জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে মসজিদে নামিরায় জোহর ও আসরের জামাত এক আজানে দুই ইকামাতে একত্রে আদায় করলে একত্রে দুই ওয়াক্ত আদায় করা করা যাবে। কিন্তু তাবুতে বা অন্য কোনো স্থানে একত্রে আদায় না করে আলাদা আলাদা আদায় করা।

> আরাফার দিনে দু’হাত উত্তোলন করে বেশি বেশি দোয়া করা। বিশেষ করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসহ পূর্ববর্তী নবি-রাসুলগণ যে দোয়া পাঠ করেছেন, তা পাঠ করা।

>বিশেষ করে কোরআন তিলাওয়াত ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ প্রেরণ হলো আরাফাতের ময়দানের সর্বোত্তম আমল।

> সম্ভব হলে আরাফাতের ময়দানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সিজদায় দোয়া ও ইসতেগফারের মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করা।

> সূর্যাস্তের পর সঙ্গে সঙ্গে মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার দিকে রওয়ানা হওয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন
© কপিরাইট ২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।